দেশের দক্ষিন অঞ্চল বৃষ্টিহীন শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের বীজতলা, ফেটে চৌচির চাষাবাদি জমি। চাষাবাদ বন্ধ গরুর হাল, পাওয়ার টিলার পড়ে আছে যত্রতত্র অকারন।
প্রায় সারাদেশ সহ দেশের দক্ষিন অঞ্চলের পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় সব যায়গায় ধান রোপনের সময়। সাধারনত পটুয়াখালী অঞ্চলে কৃষকগন শ্রাবন ভাদ্র মাসে ইরি সহ বিভিন্ন জাতের ধান রোপন করে থাকেন। কৃষকদের সবধরনের বীজ নির্দিস্ট সময়ে বড় হয়ে গেছে রোপন করার সময় অতিবাহিত হতে চলেছে।
কৃষকগণ বলছেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের ওপর নারাজ হয়েছে কি না যানিনা তবে বর্ষার ভরা মৌসুমে যথাযথ পরিমান বৃষ্টি না থাকায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। বেশিরভাগ কৃষক বলছেন তাদের বীজতলাগুলো শুকিয়ে বীজ প্রখর রোদের তাপে প্রায় পুড়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে বিস্তারিতভাবে যানতে পারে যে অনেক কৃষক মহাজনদের নিকট থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে, আবার স্বল্প আয়ের কৃষকেরা তাদের সঞ্চয় দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে কিন্তু নিয়তি তাদের স্বপ্ন আশা ধুলিস্যৎ করতে বসেছে। আবার অনেক কৃষকগন বলছেন যদিও একটু নদীনালা বা খাল থেকে পানির সেচ দেব তাও এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা খালে ঘন ঘন বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারি খালগুলো দখল করে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হয়েছে অথচ কৃষক ভরা মৌসুমে পানির অভাবে ফসল ফলাতে পারছে না।
অনুসন্ধানে আরো দেখা যায় উল্লেখিত বিভিন্ন এলাকার খালগুলোতে ছোট বড় কালভার্ট থাকলেও তার একটিতেও পানি ওঠানো এবং নামানোর জন্য কোন কপাট নেই। মানুষ প্রয়োজনে পানি ধরে রাখতে পারছেনা আবার অপ্রয়োজনে উচ্চ পানির চাপ কমাতেও পারছেন না।
কৃষকগন উপজেলা প্রশাসন কাছে ভক্তি ভরে প্রত্যাশা করছেন যেন আবাদি জমির পাশের সরকারি খালের অবৈধ বাধ গুলো কেটে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হয়। গলাচিপা উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার নিয়াজ খান বলেন, বৃষ্টি মূলত প্রকৃতির দান তার ওপর কারও হাত নেই তবে খালের বাঁধের বিষয়ে উপর্মহলের সাথে মাসিক সভার আলোচনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। অফিসার আরও বলেন এরকম ভরা শ্রাবনে ধারাবাহিক অনাবৃষ্টি চলতে থাকে তাহলে ফসল উৎপাদনে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।